বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সার্কের প্রস্তাবিত তহবিলে পাকিস্তান তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রবিবার ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, করোনাভাইরাস বিরুদ্ধে যুদ্ধে আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পাকিস্তান সরকার সার্ক কোভিড -১৯ জরুরি তহবিলের জন্য তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত বিশেষ তহবিলে প্রথমেই দেশটি ১০ মিলয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর নেপাল ও আফগানিস্তান এক মিলয়ন ডলার, মালদ্বীপ দুই মিলয়ন ডলার, ভুটান এক মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ১.৫ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের ঘোষণার পর শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা আসে। সর্বশেষ বাকি থাকা পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও তিন মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা এলো।
বার্তায় ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, সার্ক সচিবালয়ে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের কথা বলার সময়, এই তহবিলের সমস্ত অর্থ সার্ক সচিবালয়ের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত এবং সার্ক সনদ অনুসারে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে পরামর্শের মাধ্যমে তহবিলের ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো চূড়ান্ত করা উচিত বলে জানানো হয়েছে।
আজ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সোহেল মাহমুদ এবং সার্কের সেক্রেটারি জেনারেল ইসালা রুয়ান ওয়েয়ারাকুনের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি ও জানানো হয়।
বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার কারণে পাকিস্তান সার্ককে আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম মনে করে। পাকিস্তান সার্ক প্রক্রিয়াতে বদ্ধপরিকর এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সদস্য দেশগুলোর সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সার্ক দেশগুলোর জন্য একটি সমন্বিত কর্মকৌশল ঠিক করতে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত তহবিলে শুরুতে ১০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। সার্কের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ওই ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানিসহ সাতটি দেশের নেতারা যুক্ত হন। পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা আলোচনায় অংশ নেন।
S-(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল)