প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন

আগামী বছর ছুটি ২৬ দিন, তার মধ্যে ৯ দিনই সাপ্তাহিক ছুটি

আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এতে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল আজহায় ছয় দিন ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি পাঁচ দিন করা হয়েছে। এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ঘোষিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর ১২ দিন সাধারণ ছুটি এবং ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। অবশ্য ১২ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে পাঁচ দিনই সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। আর ১৪ দিন নির্বাহী আদেশের ছুটির মধ্যে চার দিনই সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এর মানে হলো বছরে ২৬ দিন ছুটি থাকলেও এর মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

ছুটির অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী, দুই ঈদে সাধারণ ছুটি এক দিন করে। সম্ভাব্য সময় অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে আগামী বছরের ৩১ মার্চ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষ ঠিক হয়)। এদিন সাধারণ ছুটি থাকবে। এর সঙ্গে ঈদের আগের দুই দিন (২৯ ও ৩০ মার্চ) এবং পরের দুই দিন (১ ও ২ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে ওই বছরের ৭ জুন (চাঁদ দেখা সাপেক্ষ)। ওই দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। এর সঙ্গে আগের দুই দিন (৫ ও ৬ জুন) এবং পরের তিন দিন (৮, ৯, ১০ জুন) নির্বাহী আদেশে ছুটি হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাধারণ ছুটি থাকবে বিজয়া দশমীর দিন। সম্ভাব্য সময় অনুযায়ী আগামী বছরের ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হতে পারে। তার আগে নবমীর দিন (সম্ভাব্য সময় ১ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

বর্তমানে ঈদের ছুটি তিন দিন। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে তা বাড়ানো হয়েছিল। এ ছাড়া এ বছর পূজা উপলক্ষে বর্তমান সরকার নির্বাহী আদেশে ছুটি এক দিন বাড়িয়েছিল।

এ রকম পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এটি অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
অন্য যেসব দিনে ছুটি থাকবে
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা এবং দুর্গাপূজা ছাড়াও আগামী বছর যেসব দিবসে ছুটি থাকবে, সেগুলো হলো ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৮ মার্চ জুমাতুল বিদা, মে দিবস (১ মে), ১১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন)। এ ছাড়াও শবে বরাত, শবে কদর, বাংলা নববর্ষ (পয়লা বৈশাখ), পবিত্র আশুরা উপলক্ষেও ছুটি থাকবে। আর ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্র-প্রথম আলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*