কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বন্ধই থাকছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যান্য মেসেজিং ও ব্রাউজিং অ্যাপ।
সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেটের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে আগামী সোমবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত।
বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গত বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে পুরোপুরো অচল হয়ে যায় ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ। তবে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর অনেকে ভিপিএন অ্যাপের সাহায্যে ফেসবুকে সক্রিয় হয়েছেন।
এদিকে ‘আজ রাত থেকে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি বাড়ানো হবে’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সারা দেশের বাসা-বাড়িতে আজকে রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড চালু হবে। যা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করবো।’
৭০-৮০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী রবি বা সোমবার সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট আসতে পারে’
সংবাদ সম্মেলনে ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
তিনি বলেন, ফেসবুক-ইউটিউব কোনোভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না।
পলক বলেন, ফেসবুক আমেরিকার কোম্পানি। তারা সেই দেশের সরকারের আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে কিন্তু আমাদের দেশের পলিসি মানে না।
তারা (ফেসবুক) নিজেদের ব্যবসার কথা চিন্তা করে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না— এমনটা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে দেশের আইন মেনে ফেসবুককে স্যোসাল মিডিয়ায় চালাতে হবে।’
এসময় তিনি দেশীয় উদ্যোক্তারা ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তৈরি করলে সহযোগিতার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া সহিংসতার বিষয়ে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকেও চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, ‘তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
সূত্র-(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এসআইএস)