বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকটি বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে শুরু হয়েছে, যা ৪৫ মিনিট ধরে চলবে।
এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনা সমকক্ষ লি কিয়াং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চীনের প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মূলত রোহিঙ্গা ইস্যু, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২০ থেকে ২২টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে চীনে তার তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফর শেষ করবেন।
বৈঠকটি ৪০ মিনিট স্থায়ী হওয়ার কথা রয়েছে।
শি জিনপিং এবং লি কিয়াংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ ধারা আলোচনার জন্য আসবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাণিজ্য ও উন্নয়নে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাম্প্রতিক বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার শেষ আলোচনা করেছিলেন।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ চীন সফর। এর আগে ২০১০, ২০১৪, ২০১৯ সালে চীন সফর করেন তিনি।
এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১ থেকে ২২ জুন ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর।
সুত্র-(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এফএ)