চলমান কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন) বলেছেন, ছাত্ররা সারা দেশে কোটার জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এরা কি জানে, সবচেয়ে বড় কোটা ‘চোর কোটা’, ‘দুর্নীতিবাজ কোটা’। এই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে আমরা সব সুবিধা পেতাম।
মঙ্গলবার বিসিএসের প্রশ্নফাঁসে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেছেন, কার কার আমলে প্রশ্নফাঁস হয়েছে সেটা বের করতে হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হব। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে কারা কারা প্রশাসনে ঢুকেছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন এমপি হিসেবে, একজন ব্যারিস্টার হিসেবে আমি মনে করি, এটা জাতির সামনে নিয়ে আসা আমার দায়িত্ব। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে এটা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি দেখতে চাই কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও চিফ জাস্টিসের কাছে যাব। কেননা এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’
প্রশ্নফাঁস তদন্তে কমিটি গঠনের সমালোচনা করে সুমন বলেন, ‘যারা চোর, পুলিশ তাদের ধরবে। কমিটি করার দরকার কী। কমিটি করা মানে ঘটনা হজম করার জন্য সময় নেওয়া।’
এ সময় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকা আল্লাহে রাস্তায় খরচ করেছেন এমন বক্তব্যের চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই। তিনি ড্রাইভার থাকাকালীন সময়ে আরও অনেকেই পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। তারা এর সাথে যুক্ত ছিলেন কিনা এটিও দেখার বিষয়। এমনটাও হতে পারে ড্রাইভারকে দিয়ে তারা দুর্নীতি করিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যেমন অপরাধী, তাদের চেয়ে প্রশ্নফাঁস করে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা কোনো অংশেই কম নয়। তারা আজীবন দেশে লুটপাট চালাবে।
সূত্র-(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/এমআর)