বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেছেন, ফেনীতে যেসব হাইস্কুলে কিন্ডার গার্টেন চালু আছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, যারা হাই স্কুল ছেড়ে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক হতে চান, তাদেরকে আমরা হাই স্কুল থেকে বাদ দিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক বানিয়ে দেব। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা এসব কাজের জড়িত তারা আজ থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ করুন। তিনি কোনো শিক্ষক গাইড বই বিক্রি করতে নিষেধ এবং প্রত্যেক স্কুলে নিজস্ব প্রশ্নপত্র দিয়ে সাময়িক পরীক্ষা নিতে বলেন।
৪ মার্চ, বুধবার জেলা শিক্ষা অফিস মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রামপুর গার্লস হাই স্কুলে অবৈধভাবে এমনি চলমান কিডস্ হ্যাভেন কিন্ডার গার্টেন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। এভাবে হাই স্কুলে কিন্ডার গার্টেন চালানোর কোন নিয়ম নেই। নিয়মনীতি না মেনে যারা পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ওই স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি ইতোমধ্যে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রামপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে একটি কিন্ডার গার্টেন চালিয়ে আসছেন। ওই স্কুলের শিক্ষকরা জানান, তিনি একই ব্যক্তি একই কম্পাউন্ডে দুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম প্রতি মাসে ওই কিন্ডার গার্টেন থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন তুলেন।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে আবুল হাশেম মুঠোফোনে জানান, তিনি হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিন্ডার গার্টেন চালিয়ে আসছেন। তিনি মুঠোফোনে এর চেয়ে বেশি কথা বলতে অপারগ। প্রতিবেদককে তিনি স্কুলে গিয়ে সরাসরি কথা বলতে বলেন।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, রামপুর গার্লস হাই স্কুল, আর বি হাট উচ্চ বিদ্যালয় ও খাইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এ তিনটি প্রতিষ্ঠানে কিন্ডার গার্টেন চালিয়ে প্রধান শিক্ষকরা ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ওসব প্রতিষ্ঠানের একই কম্পাউন্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা স্বত্বেও তারা দু:সাহসিকভাবে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সূত্র-অজেয় বাংলা