শিরোনাম

ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ২১২ রানের জবাবে মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরিতে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার পচেফস্ট্রমে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের যুবারা।

মাহমুদুল হাসান জয় ১২৭ বলে ১০০ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল ১৩টি চারে সাজানো। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ও শাহাদত হোসাইন দুজনই ব্যক্তিগত ৪০ রানের দুটো ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়ে জয়ে ভূমিকা রাখেন।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান সংগ্রহ করে কিউই যুবারা। এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেলেন তারা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিতে খেলছেন লাল-সবুজ যুবারা। এর আগে ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলেন তারা।

এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। সূচনালগ্নেই রাইস মারিউকে ফিরিয়ে দেন শামীম হোসেন।ওয়ানডাউনে নেমে ফার্গাস লেলম্যানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন ওলি হোয়াইট। তবে সেই যাত্রায় হোঁচট খান তিনিই। রাকিবুল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।

পরে নিকোলাস লিডস্টোনকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন লেলম্যান। কিন্তু তাতে বাদ সাধেন শামীম। দলীয় ৫৯ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এ পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক জেসে তাসকফ। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। হাসান মুরাদের বলির পাঁঠা হয়ে দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন ক্যাপ্টেন।

মাঝপথে ইনিংস মজবুত করতে চেষ্টা করেন নিকোলাস লিডস্টোন ও বেকহ্যাম হুইলার-গ্রিনাল। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ফলে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু হঠাৎ পথ হারান লিডস্টোন। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৪৪ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন এ মিডলঅর্ডার। তাতে ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।

পরক্ষণেই দ্রুত ফিরে যান কুইন সানডে। তাকে ফিনিশ করেন মুরাদ। সেই রেশ না কাটতেই ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ককে বিদায় করেন শরিফুল। ফলে ফের বিপর্যয়ে পড়েন কিউইরা। ধারাবাহিক বিরতিতে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন জোয়েই ফিল্ড। তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান শরিফুল।

তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন হুইলার-গ্রিনাল। বিপর্যয়ের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যাটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান তিনি। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান করে তারা। গ্রিনাল খেলেন ৮৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল। ২টি করে উইকেট নেন মুরাদ-শামীম।
সূত্র-বাংলা র্বাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*