শিরোনাম

‘বাংলাদেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর প্রস্তুতি শেষের পথে’

নিজস্ব প্রতিবেদক-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা  জব্বার বলেছেন, ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রযুক্তি অথবা আমাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে একটি ছোট্ট ঢেউ না। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবের ট্রেন মিস করা আমাদের  দেশটির জন্য ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ফাইভ-জি প্রযুক্তি অপরিহার্য। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।’

মন্ত্রী ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে  বিটিআরসি আয়োজিত বাংলাদেশে ফাইভ-জি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, বিটিআরসি কমিশনার আমিনুল হাসান এবং বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বক্তৃতা করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় ফাইভ-জির সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংযোগ ঘটানো হয়েছে। ফাইভ-জি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেসব দেশে মানুষ নাই, যন্ত্র এবং প্রযুক্তি সেসব শুন্যতা পূরণ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশের জন্য ফাইভ-জি কী হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রযুক্তি দুনিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত।  চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি জাপানিদের জন্য আনন্দের। কিন্তু আমাদের জন্য তা মোটেও সুখের নয়। বিদেশে আমাদের হাজার হাজার চালক কর্মচ্যুত হওয়া আমাদের কাম্য নয়। তিনি বলেন, তিনিটি শিল্প বিপ্লব আমরা অতীতে মিস করেছি, এবার আমরা মিস করতে পারি না। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রযুক্তিকে আমরা আমাদের প্রয়োজনে, আমাদের জন্য, আমাদের মত করে ব্যবহার করব।

এক্ষেত্রে দেশে কম্পিউটারে বাংলা হরফে পত্রিকা প্রকাশের উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে প্রকাশনা শিল্পে সারা দুনিয়া যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বাংলাদেশও সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রিন্টিং শিল্পের ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে পৃথিবীর সমানতালে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। ফাইভ-জির সাথে জনগণ এবং শিল্পকে সম্পৃক্ত করার যুৎসই উপায় আমাদের  বের করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাইভ-জি হচ্ছে একটি শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক। যথাসময়ে আমরা এই মহাসড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দেশে ফাইভ-জির যাত্রা যাতে সহজ হয় সেই লক্ষ্যে আমাদের পরিকল্পিতভাবে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করতে হবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট  ট্রেডবডির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গাইড লাইন তৈরিতে পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ  করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এআই, আইওটি, রোবটিক, বিগডাটা  এবং ব্লকচেইনের মত প্রযুক্তির সাথে ফাইভ-জি যে বাড়তি সুবিধা দেবে যা এই মুহূর্তে কল্পনাও করা কঠিন। সেই বিষয়সমূহও আমাদের গাইড লাইন প্রণয়নের সময় ভাবতে হবে।

সূত্র- (ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এলএ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*