শিরোনাম

রমযানে বাজার মনিটরিং ও অর্থদন্ড

ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনীতে রমযানে মূল্য বৃদ্ধি, ভেজাল রোধ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আজ ( ১৬ মে, ২০১৮) বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন, ফেনী। এই মনিটরিং ও অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা স্যার । বিজ্ঞ নিবার্হী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট কে সিভিল সার্জন ফেনী র ফুড সেফ‌টি সেল এর পু‌রো টিম সা‌র্বিক সহ‌যো‌গিতা ক‌রেন।

এ সময় পচা ও মানহীন খেজুর বিক্রির অপরাধে ইসলামপুর রোডের ইব্রাহিম ট্রেডার্স এর মো: ইব্রাহিমকে ( ৩৮) ১০০,০০০/- ( এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আদালত। জব্দ করা হয় ৬০ কে.জি. পচা খেজুর।
এ সময় ফেনীর সর্ববৃহৎ খুচরা বাজার এ রোযায় যে সকল পণ্য বিক্রি করা হয় সেগুলোর দাম মনিটরিং করা হয়। দেখা যায় অনেকেই মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না।
ফেনীর ভিতরের বাজারে দুই সবজি ব্যবসায়ী ও এক দোকানিকে মূল্য তালিকা না টানানোর অপরাধে ৫০০০ টাকা করে মোট ১৫,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। দন্ডিতরা হলেন আব্দুল করিম (১৮), জাহাংগীর হোসেন (৩৩), মীর হোসেন (২৮)।
মনিটরিং করা হয় ফেনীর ডাক্তার পাড়া সংলগ্ন মুক্ত বাজার। এ সময় এই বাজারের চারটি দোকান থেকে মোবাইল কোর্টের পূর্বেই কিছু পণ্য ক্রয় করা হয়। এ সময় দেখা যায় যে, কেউ কেউ মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্য অনুযায়ী বিক্রি করছেন না। আবার কেউ কেউ নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন। এ সময় জসিম উদ্দিন ( ২৮) নামে এক দোকানি তালিকায় রসুনের মূল্য লেখেন ৮০ টাকা। অথচ বিক্রি করেন ১০০ টাকায়। আদালত জসিম উদ্দিনকে ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এছাড়াও কামাল উদ্দিনকে ( ৬০) তালিকায় প্রদর্শিত চিনির মূল্যের ৫৪ টাকার চিনি ৬০ টাকা বিক্রি করায় ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বেগুনের যৌক্তিক মূল্য ৫৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকায় বিক্রি করায় আলাউদ্দিন পাটোয়ারিকে ( ৭০) ৫,০০০/- টাকা ও তালিকায় প্রদর্শিত টমেটোর মূল্যের চেয়ে ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা বিক্রি করায় মানিক উল হককে ( ৩০) ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আদালত।

এ সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে সবজি মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় আড়তদারদের বিরুদ্ধে। এ সময় মনিটরিং করা হয় শহরের সর্ববৃহৎ আড়ত দাউদপুর কাচা বাজারে। আড়তের সবগুলো (২০ জন) আড়তদারকে প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে ২০,০০০/- টাকা করে মোট ৪০০,০০০/- ( চার লক্ষ) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

এর পূর্বে মহিপালের মেসার্স এইম এন্টারপ্রাইজ মো: হুমায়ূন কবির ভূইয়াকে ( ৩৫) আল্ট্রা সুপার ও শারলু ইঞ্জিন তেল নকল করে বিক্রির দায়ে ১০০,০০০/- ( এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। দোকানের পেছনেই রং মিশ্রিত করে ভেজাল মোবিল বিক্রয় করে আসছিলেন তিনি।

অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া, পৌরসভা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*