আমিনুল ইসলাম রিয়াজ:>>>
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুলতানপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে ধীরগতিতে। টেন্ডারের শিডিউলে বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। মাত্র দুই তৃতীয়াংশ কাজ কোনো রকমে শেষ হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। কোমলতি শিশুদের পাঠদান, চলাফেরা ও খেলাধুলায় মারাত্মকভাবে বিগ্ন ঘটছে। উচ্চশব্দে লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে তাদের।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বহুমুখী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় মধ্যম সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনতলা বিশিষ্ট আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৯ টাকা।
প্রকল্পটির কাজ করতেছে এসএস-এই জয়েন্ট ভেঞ্চার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজের তদারকি করেন ঠিকাদার দীপঙ্কর বণিক। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে ২০১৬ সালের ৩ জুলাই থেকে। ধীরগতিতে কাজ করার কারণে প্রকল্পের মাত্র ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্মাণ শ্রমিকরা বলছেন, কাজ শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ ভবন বুঝিয়ে দিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মধ্যম সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, দীর্ঘদিনেও এই আশ্রয়ণ কেন্দ্রর কাজ না হওয়ায় তিনি হতাশ। তার মতো অনেকেই হতাশ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।
নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের এমন ধীরগতির কারণে এলাকাবাসীর অনেকের মধ্যেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তারা কাজ শেষ না করে গড়িমসি করছে।
অন্যদিকে এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি